Tuesday, 26 November 2013

যখন সময় থমকে দাঁড়ায়

যখন সময় থমকে দাঁড়ায় নিরাশার পাখি দু’হাত বাড়ায় খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন কি আর করে তখন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন

যখন আমার গানের পাখি শুধূ আমাকেই দিয়ে ফাঁকি সোনার শিকলে ধরা দেয় গিয়ে আমি শূন্যতা ঢাকি যখন এঘরে ফেরে না সে পাখি নিস্ফল হয় শত ডাকাডাকি খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন কি আর করে তখন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন

যখন এমনে প্রশ্নের ঝড় ভেঙ্গে দেয় যুক্তির খেলাঘর তখন বাতাস অন্য কোথাও শোনায় তার উত্তর যখন আমার ক্লান্ত চরন অবিরত বুকে রক্তক্ষরন খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন কি আর করে তখন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন

যখন সময় থমকে দাড়ায় নিরাশার পাখি দু’হাত বাড়ায় খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন কি আর করে তখন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন

নচিকেতা

Thursday, 24 October 2013

মান্না দে আজ আর নেই




মার স্নেহ কাকে বলে জানিনা বাবার মমতা কি বুঝতে না বুঝতেই এ বিরাট পৃথিবীতে দেখলাম সে ছাড়া আমার আর কেউ নেই সে আমার ছোট বোন…বড় আদরের ছোট বোন।।


ভালো করে যখন সে কথা শেখেনি তখন থেকেই সে গেয়ে যেত গান বাজনার হাত ছিল ভালই আমার তার সাথে বাজাতাম দিয়ে মন-প্রাণ রাস্তায় ভিড় করে শুনত সবাই অবাক হতো যে কত জ্ঞানী-গুণীজন।।


ভোর বেলা তার গানে ঘুম ভাঙত রাতে তাকে বাজনায় ঘুম পাড়াতাম ভাইয়ের বাজনা আর বোনের গানে সহজ সরল সেই দিন কাটাতাম ছোট্ট একটি ঘর এ দু’টি মানুষ এই ছিল আমাদের সুখের জীবন।।


একদিন যখন সে একটু বড় প্রথম সুযোগ এলো এক জলসায় মুগ্ধ শ্রোতারা তার কন্ঠ শুনে দু’হাত ভরালো তার ফুলের তোড়ায় ঘরে এসে আমায় সে করল প্রণাম প্রথম ভরলো জলে আমার নয়ন।।


তারপর কি যে হলো গান শুধু গান ছড়িয়ে পড়লো তার আরো বেশী নাম শ্রোতারা উজার করে দিলো উপহার দিল না সময় শুধু নিতে বিশ্রাম ক্লান্তির ক্ষমা নেই ওদের কাছে আরো বেশী দিতে হবে বুঝে নিলো মন।।


একদিন শহরের সেরা জলসা সেদিনই গলায় তার দারুণ জ্বালা তবুও শ্রোতারা তাকে দিল না ছুটি শেষ গান গাইলো সে পড়ে শেষ মালা শিল্পের জন্য শিল্পী শুধু এছাড়া নেই যে তার অন্য জীবন নীরব হলো ছোট বোন বড় আদরের ছোট বোন।।


তার গান থেমে গেছে নেই শ্রোতা আর আমি একা বসে আছি স্মৃতি নিয়ে তার আনন্দ নিয়ে গেছে ওরা সকলে দুঃখটা হোক আজ শুধুই আমার অনুযোগ এতো নয় এই শিল্পীর ভাই বোন সকলেরই ভাগ্য লিখন।।


গানটি গেয়েছিলেন মান্না দে
মান্না দের এই রকম আরো অনেক গান আছে যা আমার সব সময় ভালো লাগে !!

Wednesday, 23 October 2013

"বাংলাদেশ ডিজিটাল ,, ডিজিটালে টালমাটাল"




ভাই বিদেশ থাকতেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন তাঁর কোনো খোঁজখবর ছিল না।
হঠাৎ একদিন বিদেশ থেকে চিঠি লিখলেন,
তিনি দেশে টাকা পাঠাবেন।
বললেন অ্যাকাউন্ট আইডি পাঠাতে।
ছোট ভাই তাঁর যত ইয়াহু আর জি-মেইল অ্যাকাউন্ট আইডি ছিল,
সবই পাঠিয়ে দিয়েছে।


ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েদের বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাটা সঠিক বলা যায় না।
ফেসবুক, হাই-ফাইভসহ এ রকম আরও অনেক সাইট আছে,
যারা বন্ধুত্বের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে দুনিয়াজুড়ে।
দিন-রাত চলে ছোট্ট রুমে বসে আড্ডা,
ইংরেজিতে বলে চ্যাট।
কিন্তু এদের কতজনের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ হয়েছে?
নেটে চ্যাট হচ্ছে, মেইল পাঠানো, প্রতিদিন প্রোফাইলের ছবি আপডেট হচ্ছে, এরপর আবার সশরীরে দেখা হওয়ার কী দরকার?
সবকিছু মিলিয়ে তো বন্ধুটির সম্পর্কে আগাপাছতলা একটা ডিজিটাল ভিউ তৈরি হয়েই গেছে।


এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে দাওয়াত দিয়েছে আড্ডার, ঠিক সাতটায় উপস্থিত থাকতে।
কিন্তু বন্ধুটি সময়মতো আসতে পারছে না বলে ফোনে কল দিয়ে বলছে, ‘দোস্ত, বাসায় বিদ্যুৎ নাই, আইপিএসও ড্যাম, বিদ্যুৎ এলেই আড্ডায় (চ্যাটরুমে) ঢুকব।’


এখন ফেসবুকই সবচেয়ে বড় রেস্টুরেন্ট।
দিন-রাত এ- ওকে ফ্রাইড চিকেন থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয়-সবই পাঠাতে পারছে।
খেতে ডাকলে ছেলেমেয়েরা জবাব দিচ্ছে, ‘আরেকটু, বার্গারটা ডাউনলোড হতে সময় লাগবে, বিগ সাইজ কি না!’
অথচ ইন্টারনেটিং শেষ করেই সে বলে ওঠে, ‘মা, টেবিলে ভাত দাও, খাব।’
তাহলে এতক্ষণ যা খেলি তাতে কী উপকারটা হলো, বিগ সাইজ বার্গারটা নামানোরই বা অর্থ কী?
প্রতিদিন এভাবে যে পরিমাণ হিউম্যান আওয়ার ইন্টারনেটিংয়ে আনপ্রোডাক্টিভলি ব্যয় হচ্ছে, তা এক করলে কী করা যেত, সেটা হিসাব কষে বলতে হবে।
ভালো কিছু তো বটেই।


এখনকার বন্ধুবান্ধব বাসায় আসার আগে মানুষজনের খবর না নিয়ে জিজ্ঞেস করে, বাসায় নেট আছে তো?
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভ, এমনই জালে জড়ালে গো ধরা, তোমাতেই মজেছে সকলে, মানবিকতা রয়ে গেল অধরা।


বছরে কয়টা নতুন জাতের ধান, খাদ্যশস্য আবিষ্কার হচ্ছে আর কয়টা নতুন প্রযুক্তি আসছে বাজারে?
সিআরটি মনিটর বদলে নতুন করে একটা এলসিডি মনিটর কেনো, ওটা চোখের জন্যও ভালো, দেখতেও সুন্দর।
বিজ্ঞাপনে এলসিডির পাশে ্লিম সুন্দরীর সহাবস্থানটাও নজরকাড়া।


মোবাইল ফোন আমাদের অনেক কাজই সহজ করে দিয়েছে, এটা সত্য।
কিন্তু আমাদের মতো দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা মোবাইল ফোনে কেবল অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ওড়ানো হয়, তার কত ভাগ টাকা বছরে খাদ্য উৎপাদনে ব্যয় হয়?
এই হিসাবটা আমার জানা নেই, জনাব শাইখ সিরাজ, আপনি একটি উদ্যোগ নিতে পারেন।
যা-ই হোক, ডিজিটাল যুগে মানুষকে ডিজিটালি ভুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে, না হলে কাঁহাতক আর অভুক্ত শরীরে ডিজিটাল বিনোদন সহ্য হবে?
মন বিদ্রোহ করলে শরীর ভোগে, কিন্তু যখন শরীর বিদ্রোহ করবে তখন?


একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের বিজ্ঞাপনে লেখা হলো তাদের স্কুলের মতো এত বড় প্লে-গ্রাউন্ড আর কারও নেই।
একসঙ্গে সব ছেলেমেয়ে যা ইচ্ছা খেলতে পারবে।
জায়গা-জমির এই দুর্মূূল্যের যুগে এমন কথা শুনে কার না স্কুলটি দেখতে ইচ্ছে করে!
পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেল প্লে-গ্রাউন্ড বলতে মাঝারি সাইজের একটি কক্ষ।
সেখানে দুইশতাধিক কম্পিটারের মনিটর পিটপিট করে জ্বলছে।
ছেলেমেয়েরা সেখানে কেউ ফুটবল, কেউ ক্রিকেট, কেউ ক্রস-পাজল, কেউ মোটর-রেস, কেউ কমান্ডো খেলা নিয়ে দারুণ ব্যস্ত।
দারুণ ডিজিটাল উত্তেজনা।
এ-ওকে গোল দিচ্ছে, কেউ ছক্কা হাঁকাচ্ছে, কেউ মাইকেল শুমেখারকে পেছনে ফেলে দারুণ উচ্ছ্বসিত, কেউ আবার কমান্ডো হয়ে ইয়া বড় বড় শত্রুঘাঁটি নিমিষেই গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
অথচ এদের কেউই সকালে একা একা স্কুলে আসতে পারে না, ছুটি হলে বাবা-মা-চাচা-বুয়ার জন্য গেটে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, বইয়ের ওজনে ঠিকমতো সোজা হয়ে হাঁটতেও ওদের কষ্ট হয়।
এখনকার আন্ডা- বাচ্চারা ঠিকমতো হাঁটতে না পারলেও কম্পিউটার ওপেন করে ঠিকই মোটর-রেসে অংশ নিতে পারে।
ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল বাচ্চা-কাচ্চা, বড় হয়ে বাস্তববাদী (অ্যানালগ) মানুষ হবে, এটাই আশা।


ডিজিটালের ভেতরে এখনো অ্যানালগ।
বলেছি যখন, ব্যাখ্যা করা জরুরি।
ডিজিটাল এসেছে ডিজিট থেকে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্দায় সংখ্যা, ছবি ভাসবে।
কিন্তু পর্দায় এই সংখ্যা আর ছবি ফুটে ওঠার আড়ালে আছে অনেকগুলো ছোট বাতির জ্বলা-নেভা।
ঠিক যেমন বাসায় ১০০ ওয়াটের বাতিটি জ্বলে ও নেভে।
আর আছে শক্তি, যা খেয়ে বাতিগুলো জ্বলে।
অতএব এটা পরিষ্কার, খাওয়া এবং সেই অ্যানালগ জ্বলা-নেভা ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি অসম্ভব।
সুতরাং, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ডিজিটাল বাংলাদেশ বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভালো কথা, এবার সবার জন্য সহজলভ্য খাদ্য নিশ্চিত করুন, ডিজিটাল এমনিতেই হয়ে যাবে।
কৃষকেরা নিশ্চয় মাঠে সারের বদলে ডিজিট ছিটাবে না, কিংবা ফসলের বিনোদনের জন্য এমপিথ্রিও বাজাবে না।
মানুষ ডিজিটাল বুঝলেও মাঠের ফসল ডিজিটাল বোঝে না।
বোঝে খাদ্য, বোঝে সার।
বাঁচার জন্য ওটাই মূল কথা- ফসলই হোক আর মানুষই হোক।
Elo Melo Golpo

Monday, 21 October 2013

আকাশ মেঘে ঢাকা


আকাশ মেঘে ঢাকা শাওন ধারা ঝরে যেদিন পাশে ছিলে সেদিন মনে পড়ে


সেদিনও এই ক্ষনে সজলও ছিলো হাওয়া কেয়ার বনে তারো ছিলো যে আশা যাওয়া যুঁথির সুরভিতে আঙ্গিনা ছিলো ভরে


এখনো সেই স্মৃতি বুকেতে বয়ে চলি নিজেরো সাথে আমি নিজেই কথা বলি

স্মৃতির মনিমালা সবার চেয়ে দামি আজও তা পড়ে আছি ভুলিনিতো কিছু আমি এখনো বসে আছি হারানো খেলা ঘরে

আকাশ মেঘে ঢাকা শাওন ধারা ঝরে যেদিন পাশে ছিলে সেদিন মনে পড়ে


চিত্রা স

Monday, 30 September 2013

বাবা-মা চিন্তায় পড়েন সারা দিন সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করার পরও ছেলে সামাজিক বিজ্ঞানে ৩৩-এর বেশি পায় না কেন?


সন্তানদের নিয়ে বাবা- মায়েরা সব সময় চিন্তার মধ্যে থাকেন। সন্তান কোথায় যায়,
কার সঙ্গে মেশে এসব নিয়ে তাঁদের চিন্তার শেষ নেই। ইদানীং এ ভাবনা পেয়েছে নতুন মাত্রা। ছেলেমেয়েরা ‘টেক্সটবুক’
বাদ দিয়ে সারা দিন ‘ফেসবুক’ নিয়ে মেতে আছে। ফেসবুক জিনিসটা কী,
জিজ্ঞেস করলে সন্তান গম্ভীর মুখে বলে,
এটা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের একটা ওয়েবসাইট। বাবা-মা আবার চিন্তায় পড়েন। সারা দিন সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করার পরও ছেলে সামাজিক বিজ্ঞানে ৩৩ এর বেশি পায় না কেন?
এর ওপর নানা জায়গা থেকে তথ্য আসে— ফেসবুকে ছেলেমেয়েরা সময় নষ্ট করছে,
বিপথে চলে যাচ্ছে আরও কত কী!
কিসের সামাজিক যোগাযোগ?
ফেসবুক তরুণসমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে—এ বক্তব্যের সঙ্গে তাঁরাও একমত। অতএব,
ফেসবুক বন্ধ। কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমেও যে অনেক ভালো কিছু হয়,
হচ্ছে এবং আরও হওয়া সম্ভব,
তা সবাই ভুলে বসে আছে। ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে,
যারা সামাজিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ‘আমরা খাঁটি গরিব...
’ তেমনই একটি গ্রুপ। মজা করার জন্য খোলা হলেও শুধু মজাতেই গ্রুপটি আটকে থাকেনি। গত জানুয়ারির তীব্র শীতে এই গ্রুপের সদস্যরা ফেসবুকের মাধ্যমে ত্রাণ সংগ্রহ করে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিয়ে এসেছেন। জানুয়ারির সেই মিশনের পর ২৬ জুন পথশিশুদের আম বিতরণ করে তাঁরা সফলভাবে শেষ করেছেন তাঁদের দ্বিতীয় মিশন। ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা শিশুদের আম দিলেন কীভাবে— অনেকেই করেন এ প্রশ্নটা। উত্তর খুবই সোজা। ‘আমরা খাঁটি গরিব...’
গ্রুপের সদস্য প্রায় দু হাজার ৪০০ জন। পথশিশুদের আম খাওয়ানো হবে—এ ঘোষণা শুনে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু কীভাবে খাওয়ানো হবে?
আলোচনায় ঠিক হয়,
অপরাজেয় বাংলা নামের একটি সংগঠন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শ্রমজীবী বা পথশিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা করে;
যাকে বলে স্ট্রিট স্কুল। সেই স্কুলের শিশুদের দেওয়া হবে আম। গ্রুপের সদস্যদের সবারই অনলাইনে পরিচয়,
কিন্তু দেখে তা বোঝার উপায় নেই। সবাই মিলে টাকা সংগ্রহ করে জমা দেন গ্রুপের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা দিয়ে কেনা হয় ৩৫০ কেজি আম। ভাড়া করা হয় পিকআপ। তারপর ২৬ জুন সকালে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে শুরু হয় যাত্রা। গ্রুপের তরুণ সদস্যদের আগ্রহের সীমা নেই। ছাদ খোলা পিকআপে বৃষ্টিতে ভিজে গরিব গ্রুপের সদস্যরা গাইতে গাইতে যখন যাচ্ছিলেন,
আশপাশের লোকজন অবাক না হয়ে পারেনি। পিকআপ প্রথমে থামল গাবতলী বাস টার্মিনালের একটি স্কুলে। তারপর একে একে মোহাম্মদপুর টাউন হল,
কমলাপুর রেলস্টেশন,
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম,
হাইকোর্ট মাজার,
চন্দ্রিমা উদ্যানের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থী এবং রায়ে রবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ,
বছিলা বস্তি এবং ধান মন্ডির পথশিশুদের আম দেওয়া হয়। এক একটা স্কুলে পিকআপ থামে,
আর শুরু হয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের উল্লাস। তাদের উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিল তারা আম না,
ঈদের চাঁদ দেখছে। অবশ্য পাকা আম তাদের কাছে ঈদের চাঁদের মতোই। বছরে দুবার চাঁদ দেখা গেলেও দুবার আম খাওয়া তাদের অনেকেরই ভাগ্যে নেই। ‘নেই’ শব্দটা এই শিশুদের সঙ্গে আঠার মতো লেগে আছে। তাদের গায়ে কাপড় নেই,
স্কুলে আলাদা কক্ষ,
বেঞ্চ, বই-খাতা-কলম কিছুই নেই। এমনকি অনেকের বাবা- মাও নেই। মোহাম্মদপুরের ছোট্ট মেয়ে সুরমা দুই হাতে দুটি আম নিয়ে দাঁত বের করে হাসছিল। আম দুটি সে খাবে না,
বাড়িতে তার মা আর বৃদ্ধ নানি আছেন,
তাঁদের জন্য নিয়ে যাবে। আর বাবা?
‘বাবা নাইগা,
আরেকটা বিয়া কইরা ভ াগসে।’
এত কষ্টের পরও সে স্কুলে আসছে,
সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে পড়ছে— আ-তে আম। কিন্তু ওই পড়া পর্যন্তই,
আম আর তাদের খাওয়া হয় না। তার পরও বছরের প্রথম আম পেয়ে একা না খেয়ে নিয়ে যাচ্ছে মা আর নানির জন্য!
এদে মধ্যে কোনো জড়তাও নেই। দেখে মনে হচ্ছিল আম দিতে আসা ভাইয়া- আপুদের তারা খুব ভালো করে চেনে। কী চমৎকার করে বলে—‘ভাইয়া,
আমার একটা ছবি তুলে দ্যান তো।’
সেই ছবি দেখানোর পর আরও সুন্দর করে বলে,
‘ছবি ভালো আসেনি,
আবার তোলেন।’ চন্দ্রিমা উদ্যানের মামুন আম দেওয়ার সময় গাছে উঠে বসে আছে। সবাই আম নিয়েছে,
সে নেবে না, গাছ থেকেও নামবে না। তার মন খারাপ। আম দিতে আসা এক ভাইয়া তাকে গাছ থেকে নামিয়ে হাতে আম তুলে দিতেই তার মন ভালো হয়ে গেল। শুধু ভালোই না,
খুশিতে তার চোখে পানি চলে এল। হাসি-কান্না দুটোই একসঙ্গে। কী সুন্দর দৃশ্য!
রায়েরবাজারে পিকআপে ব্যানার দেখে একজন প্রশ্ন করলেন,
‘এই ফেসবুক জায়গাটা কোথায়?’
সব খুলে বলার পর তিনি বললেন,
‘সবই বুঝছি,
কিন্তু আপনাদের উদ্দেশ্যটা কী?’
উদ্দেশ্য একটাই। হাসি দেখা। মাত্র দুটি আম পেয়েই দরিদ্র শিশুগুলোর মুখে যে হাসি ফুটেছে,
তা কয়জন দেখতে পারে?
আম পেয়ে শিশুরা সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে বলছিল ‘থ্যাংক ইউ!’
গ্রুপের সদস্যরা এই শব্দটা জীবনে অনেকবার শুনেছেন;
কিন্তু কখনোই এতটা ভালো লাগেনি।

Elo Melo Golpo

Tuesday, 3 September 2013

শিরোনামঃ আমি বাংলায় গান গাই কথাঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায় সুরঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায় কন্ঠঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়

কন্ঠঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু অ্যালবামঃ চোখ ভেসে যায় জলে

আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।

আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন আমি বাংলায় বাঁধি সুর আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর

বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রানের সুর আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।

আমি বাংলায় কথা কই আমি বাংলার কথা কই আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই ।।

আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে করি বাংলায় হাহাকার আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার

বাংলাই আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।

আমি বাংলায় ভালবাসি আমি বাংলাকে ভালবাসি আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি ।।

আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায় মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায় ।।

বাংলা আমার তৃষ্ণার জল তৃপ্ত শেষ চুমুক আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।

আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই আমি, আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই ।।

আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন আমি বাংলায় বাঁধি সুর আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর ।।

বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রানের সুর আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।


Elo Melo Golpo